-এই কই তুই ?
-বাইরে বের হলাম ।
-বাইরে বের হয়েছিস কেন ? তোর না শরীর খারাপ । শুয়ে থাকতে বলেছি না তোকে ।
-আরে বাবা খেতে যাচ্ছি । খিদে লেগেছে ।
-হোটেলে খাবি ?
-আর কোথায় খাবো ? এখন রান্না করতে মন চাইছে না ।
-তুই আমাদের বাসায় আয় ।
-কি ? ঢং করব না তো । এখন তোদের বাসায় যাবো কেন ?
-তোকে আসতে বলছি আয় । একটা রিক্সা নে । ১০/১৫ মিনিটের ভিতর চলে আসবি । এখনই আসবি ।
-নীলু .....
-কোন কথা শুনতে চাই না । তুই এখনই আসবি । না আসলে কিন্তু খবর আছে ।
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নীলু ফোন রেখে দিল । আমি ফোন টা হাতে নিয়ে কিছু ক্ষন দারিয়ে রইলাম । কি করবো ঠিক বুঝতে পারছি না । এখন এই দুপুর বেলা নীলুদের বাসায় যাওয়া ঠিক হবে কি না বুঝতে পারছি না । যদিও ওদের বাসাটা খুব বেশি দুরে না । রিক্সা কেন হেটে গেলেও ১৫ মিনিটের ভিতরে পৌছে যাবো কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যাবো কি না ?
আবার না গেলে নীলু চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করে দিবে আবার যাবো যে সেই উপায়ও নেই । কি এক বিচিত্র কারনে নীলুর মা আমাকে ঠিক পছন্দ করে না । যদিও মুখ ফুটে কিছু বলে না তবে ওনার চোখের দিকে তাকালে সেটা ভাল ভাবেই বোঝা যায় ।
শেষে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিলাম । হোটেলে খাওয়ার চেয়ে নীলুর বাসায় গিয়ে খেয়ে আসি । হোটেলে খেতে গেলে নিজেকে বড় বেশি অভাগা লাগে ।
একবার কলিংবেল বাজানোর পরপরই নীলু দরজা খুলে দিল । মনে হচ্ছিলো যেন আমার জন্যই অপেক্ষা করে ছিল । ওর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ টা একটু ফোলা ফোলা । মনে হল যেন একটু আগে কোন কারনে কান্না-কাটি করেছে ।
ওর মায়ের সাথে কোন কিছু হয়েছে ?
এমন একটা সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না একেবারে । আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম
-আন্টি কোথায় ?
-ঘুমুচ্ছে ।
-সত্যি ?
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।