মানুষের উপর কখন যে কোন বিপদ নেমে আসে তা কেউ বলতে পারে না। ফারিয়া এই আধা ঘন্টা আগেও কি বুঝতে পেরেছিল যে তার নিজের পরিচিত ক্যাম্পাসে তাকে প্রাণ ভয়ে দৌড়াতে হবে এভাবে।
লম্বা করিডোরের ডান দিকে মোড় নিয়েছে। মোড়ের মাথায় এসে একটু দম নিল সে। সাথে সাথেই মাথার ফুট খানেক উপরে এসে দুইটা গুলি এসে বিধলো দেওয়ালে। ওর কাছে এখনও ব্যাপারটা বিশ্বাস হচ্ছে না। এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে কেউ ওর দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে৷
ফারিয়া আরেকবার পেছনের করিডোরের দিকে তাকালো। পুরো করিডোর টা অন্ধকার হয়ে আছে। ইচ্ছে করেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
কেবল মাত্র ওকে মারার জন্য?
ব্যাপারটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। একজন সাধারন রিসার্চ স্টুডেন্ট সে। ক্লাস ক্যাম্পাস আর পরিবারের সাথে ঘুরাঘুরি ছাড়া আর কিছু করেছে কি না সন্দেহ। অন্তত এমন কিছুতো অবশ্যই করে নি যে কেউ পিস্তল দিয়ে তার দিকে গুলি করবে।
আরেকবার গুলির আওয়াজ হল। ফারিয়া আবারও দৌড়ানোর প্রস্তুতি নিলো। তবে এবার দৌড়ানোর আগে শরীরের ল্যাব কোর্ট টা খুলে ফেলল। সাদা রংটা অন্ধকারের ভেতরেও পরিস্কার খুজে পাওয়া যায়। এই জন্যই হয়তো আততায়ী তাকে সহজেই খুজে পাচ্ছে।
ফারিয়ার পরনে এখন কেবল কালোরংয়ের টাইট ফিটিং জগিং স্যুট আর নীল কেডস। নিজের ভাগ্যকে একটু ধন্যবাদ দিল৷ যদি সে প্রফেসরের মেসেজ পেয়ে জগিংয়ের বদলে অন্য পোশাকে আসতো তাহলে কি আততায়ীর কাছ থেকে এইভাবে পালিয়ে পারতো। কেডসের বদলে বুট কিংবা হিল পরলে কি হত সেটা ভাবতেই গা শিরশির করে উঠলো। কেডস আর জগিং স্যুট পরেছে বলেই হয়তো এতো সময় টিকে আছে। পালিয়ে যেতে পারছে। নয়তো ধরা পরে যেত।
প্রতিদিনের মত আজকেও ফারিয়া সন্ধ্যার সময় জগিং এ বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখনই তার রিসার্স কোওডিনেটর পল জেমসের মোবাইল থেকে মেসেজ এসে হাজির৷ সেখানে লেখা যে ফারিয়া যেন এখনই ক্যাম্পাসে ওর ল্যাবে আছে। গতকালের যে রিপোর্ট সে জমা দিয়েছিল সেখানে কিছু ভুল আছে। সেটা একটু ঠিক করতে হবে।
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।