কিডন্যাপ অভিযান এবং তারপর ....

1K 20 1
                                    

 এক 


মাইক্রো বাস চলছে দ্রুত বেগে । তাকিয়ে দেখি স্পীড মিটারের কাটা টা ৯০ ছুই ছুই করছে । এই ঢাকা শহরের রাস্তায় ৯০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানো আসলেই কঠিন ব্যাপার ।
কিন্তু সৌমিককে দেখলাম নিশ্চিন্ত মনেই গাড়ি চালাচ্ছে ।
আশ্চর্য ছেলেটা এতো শান্ত আছে কিভাবে ? আমি বসে আছি ড্রাইভারে পাশের সীটে । মুখ ঘুড়িয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি ইরফান চোখ বন্ধ করে আছে । কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনছে ।
ফাজিলের ফাজিল গান শুনছে ! এমন একটা ভাব যেন আমরা পিকনিক করতে বেড়িয়ে !
একটা থাপ্পড় দিতে পারলে ভাল লাগত ।
হঠাৎ অনুভব করলাম আমার বুকের ভেতর কাঁপনটা এখনও থামে নি । বরং বেড়েই চলেছি ।
কিন্তু এই দুই জন এতো নিশ্চিন্ত আছে কিভাবে ? আর তাহলে আমি বা এতো চিন্তা করছি কেন ?
হঠাৎ ইরফান চোখ না খুলেই বলল
-রিলাক্স তানভীর ভাই ! এতো টেনশিত হওয়ার কিছু নাই । সব প্লান মোতাবেক হচ্ছে ।
এমন ভাবে রিলাক্স বলল যেন ইরফান প্রতিদিন দুচার টা করে মেয়ে কিডন্যাপ করে ! এটা তার বাঁ হাতের খেলা !
মাইক্রো বাসের পেছনের সিট টা ফাঁকা । মাঝের সিটে ইরফার বসে আছে চোখ বন্ধ করে । ওর কোলের উপর আধ শোয়া হয়ে বর্ষা শুয়ে আছে ।
অজ্ঞান ।
ক্লোরোফম দিয়ে মেয়েটাকে অজ্ঞান করা হয়েছে । এই মেয়েটাকেই আমরা তিন জন মিলে কিডন্যাপ করেছি ঘন্টা খানেক আগে !


দুই 


-ভাই বিজি ?
ইরফানকে এই সময়ে অফিসে দেখে একটু অবাক লাগলো । এখন তো ওর ক্লাসে থাকার কথা । এখানে কি করে ?
-কি রে তুই এখন এখানে ? ক্লাস নাই ?
ইরফান মেডিক্যালে পড়ে । তৃতীয় বর্ষ । একটু অনলাইনে বেশি থাকে তবে ভাল স্টুডেন্ট । ক্লাস মন দিয়ে করে । কিন্তু আজকে এখানে কি ?
-অফ ডে নাকি ?
ইরফান গোমড়া মুখ করে বলল
-জি না । ক্লাস চলে ।
-তাইলে তুই এখানে কি করস ?
-ক্লাসে যাই নাই ।
-কেন ?
এই প্রশ্নের জবাবে ইরফান কিছু বলল না । চুপ করে বসেই রইলো ।
-কি হল কথা বলছিস না কেন ?
-ভাই আমি বিয়ে করবো !

প্রথম মনে হল ভুল শুনলাম । আমি নিজে এখনও যেখানে বিয়ে করি নি সেখানে ইরফান আমার কাছে এসে বিয়ের আবদার করতে পারে না । এতোটা অবিবেচক নিশ্চই ইরফান না ।
কোন ডায়বেটিস রোগীর কাছে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার আবদার করা আর অবিবাহিত যুবকের কাছে গিয়ে বিয়ে করার আবদার করা একই কথা ।
আমি বললাম
-কি বললি তুই ? বিয়ে ?
-জি ভাই বিয়ে ।
আমার মনে হয় একটু ভুল হয়েছে শুনতে । ও হয়তো আমার আর হৈমর বিয়ের কথা বলতে এসেছে । হৈম সম্পর্কে ওর চাচাতো বোন হয় । যে চাচার বাড়ি ও থাকে ।
আমাদের অনেক হেল্প করে ইরফান । বিশেষ করে ইরফান না থাকলে তো হৈর পুলিশ বাপের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওর সাথে যোগাযোগ করা মুস্কিল হয়ে যেত । ইরফানের চাচা অর্থাৎ হৈমর বাবা এখানকার থানার এএসপি । আমি ইরফানকে বললাম
-আমার বিয়ে ?
ইরফান চোখ কপালে তুলে বলল
-ভাই এইসব কি বলেন ? আপনার বিয়ে হবে কোন দুঃখে ? আমার বিয়ে । 
-সে কিরে ? তোর বিয়ে মানে ? নাক টিপলে এখনও দুধ বের হয় তুই বিয়ে করবি মানে ? আমি নিজেই এখনও বিয়ে করতে পারলাম না ।
-আপনার বিয়ে আর হয়েছে ! আমি কিছু জানি না । আমি বিয়ে করবো । একটা ব্যবস্থা করতে হবে । কোন কথা শুনতে চাই না । ঐ মেয়েকে একটা শিক্ষা দিতেই হবে । আমাকে ভীতু বলে ! এতো বড় সাহস !


তিন
গাজী পুর চৌরাস্তা পার হয়েছি অনেকক্ষন হল । এখন একটু নিশ্চিন্ত লাগছে । তা না হল প্রতিটা জ্যামে যখন গাড়ি এসে থামছিল বুকের ভিতর কেমন একটা ভয় এসে ভর করছিল । বারবার মনে হচ্ছি এই বুঝি পুলিশ এল । অথবা বর্ষার বাপের লোকজন এসে মাইক্রো বাসটা ঘিরে ধরলো বুঝি । পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও না একটা ব্যবস্থা হবে কিন্তু যদি বর্ষার আব্বা ধরতে পারে তাহলে খবরই আছে ।
অবশ্য এখনও কারো টের পাওয়ার কথা না । দেড় ঘন্টার মত পার হয়েছে মাত্র ।

চার
দুজন মিলে প্লান করেছি । সব কিছু এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাকই চলছে । সব থেকে বড় ঝামেলার কাজটা ছিল রাস্তা থেকে বর্ষাকে তুলে নেওয়া । সেইটাই যখন ঝামেলা ছাড়া হয়ে গেছে তখন আশা করা যায় সামনের সব কিছু প্লান মোতাবেকই হবে ।
বর্ষাদের বাসাটা এলাকার একদম শেষ মাথায় । বলতে গেলে ওর কলেজের উল্টো পথে । এদিকটাতে বাড়ি ঘর আর দোকান পাটের সংখ্যা একেবারেই কম । লোকজনের চলাচলও বেশ কম ।
আমরা বর্ষার বাসা আর কলেজের মাঝের রাস্তায় ওকে তুলে নেওয়ার জন্য ঠিক করি । মাইক্রোবাস অবশ্য ইরফান নিজেই ঠিক করেছে । এমন কি বর্ষাকেও ও নিজেই গাড়ীর ভিতর তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আমাকে কেবল বলেছিল আপনি শুধু আমাদের লুকিয়ে থাকার ব্যবস্থাটা করবেন ।
আমাকে আসার দরকার নেই বলেও বলেছিল কিন্তু টেনশন হচ্ছিল তাই আমিও ওর সাথে চলে আসি ।

আমি একটু আগে আগেই পৌছে যাই । ইরফান মাইক্রবাস টা নিয়ে পৌছায় আরও পনেরো মিনিট পরে ।
মাইক্রোর ড্রাইভারটার বয়স বেশ কম । নাম সৌমিক । আমার একটু অস্বস্তি লাগছিল কিন্তু ইরফান বলে যে এই কাজে সৌমিকের আগেও অভিজ্ঞতা আছে । আসলেই তাই । ঠিক সময় মতই সৌমিক ঠিক মতই গাড়ীটা চালিয়েছে । যেখানে যেমন গাড়ির গতি হওয়া উচিত্‍ ছিল সেখানে একদম সেই রকমই ছিল ।
অমরা অপেক্ষা করছিলাম । বর্ষা যখন আমাদেরকে ক্রস করে গেল তখনই আমরা মাইক্রোবাসে উঠে বসলাম । আমি বসলাম সৌমিকের পাশে । আর ইরফান মাঝের সিটে মাইক্রোর দরজা খুলে ।
বর্ষা হাটছে আস্তে আস্তে । আমরা মাইক্রো নিয়ে চলছি ওর পিছু পিছু । আমি চোখ রাখছি আশে পাশে । হাটতে হাটতে এমন একটা জায়গায় চলে আসলাম যেখানে লোকজন নেই বলতে চলে । দুরে দুটা রিক্সা দেখা যাচ্ছে । কিন্তু কোন রিক্সাওয়ালাদের দেখা যাচ্ছে না । তায় একটু পাশেই এক টোকায় রাস্তা থেকে কি যেন খুজতেছে ।
আর এই পাশে একটা ভাংড়ির দোকান । হাজারও ভাঙ্গা চোড়া জিনিস পত্র পরে রয়েছে । কিন্তু কোন মানুষ দেখা যাচ্ছে না । এই সুযোগ ।
আমি সৌমিক কে বললাম
-রেডি হও । দিস ইজ দ্য সুযোগ !
গাড়ির গতি একটু বেড়ে গেল । দেখতে দেখতে একেবারে বর্ষার কাছে চলে এল । বর্ষা মনে হয় ততক্ষনেই বুঝতে পারে নি । কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে হেটে চলেছে ।
ইরফান যখন ওর কোমরে হাত দিয়ে এক টানে মাইক্রোটার ভিতরে টেনে নিল তখন ওর হুস হল । কেবল অবাক হওয়া চেহারা দেখতে পেলাম ওর । একবার আমার দিকে আর একবার ইরফানের দিকে ।
ইরফান দেরী না করে গাড়ির দারজা বন্ধ করে দিল । এদিকে সৌমিক ততক্ষন এক্সেলেটরে চাপ দিয়ে ফেলেছে । ভাঙ্গা রাস্তায় তীর বেগে গাড়ি চলতে শুরু করলো কিছুক্ষনের ভিতর ।
বর্ষা যখন বুঝে ফেলেছে ওর সাথে কি হতে যাচ্ছে তখনই একটা চিৎকার দিতে গেল । কিন্তু ততক্ষনে দেরী হয়ে গেছে । ইরফান ক্লোরোফম মেশানো রুমাল ওর মুখে চেপে ধরেছে !


পাঁচ
ইরফানকে চুপ করে থাকতে দেখে আমি খানিকটা চিন্তিত কন্ঠে বললাম
-তুই কি সত্যিই সিরিয়াস নাকি ?
-আপনার কি মনে হয় ?
-আরে এই ভাবে বললেই হল নাকি ? বিয়ে কি ছেলে খেলা নাকি ? ছেলে মেয়ে রাজি হলেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না ।
ইরফান ক্ষীণ কন্ঠে বলল
-মেয়ে রাজী না ।
আমি খানিকটা ধাক্কার মত খেলাম ।
-কি বললি ? মেয়ে রাজী না মানে ? মেয়ে রাজী না হলে বিয়ে করবি কাকে ?
ইরফান কিছু না বলে চুপ করে রইলো । আমি কিছু বুঝতে পারছি না । এই বলছে বিয়ে করবে আবার এই বলছে মেয়ে রাজি না ।
তাহলে বিয়ে করবে কাকে ? তখনই হঠাতৎ করেই একটা সন্দেহ মাথা চারা দিয়ে উঠল ।
না না । এটা হতে পারে না । আমি বললাম
-তুই মেয়েকে জোর করে উঠানোর প্লান করছিস ?
-জি ।
-জি মানে ?
ইরফান এমন ভাবে জি বলল যেন রাস্তা থেকে মেয়ে না চকলেটের বাক্স থেকে চকলেন উঠাবে । থাপড়িয়ে সামনের সব কটা দাঁত ফেলে দেওয়া উচিত্‍ ! জোর করে মেয়ে তুলবে !আমি অবাক হয়ে কিছুক্ষন ইরফানের দিকে তাকিয়ে রইলাম । এই ছেলের মাথায় চলছেটা কি ? এই ছেলের সমস্যা টা কি ? ইরফান বলল
-ভাই আপনার কিছু করতে হবে না । বর্ষাকে আমি নিয়ে আসবো ! আপনি কেবল আমাদেরকে লুকানোর মত একটা সেফ জায়গা ম্যানেজ করে দেন ।
-এই দাড়া দাড়া । বর্ষা মানে ? কোন বর্ষা ? তোদের এলাকার মাহতাব আলীর মেয়ে ?
ইরফান বলল
-জি !
-তোর কি মাথা সত্যিই খারাপ হয়ে গেছে ? এলাকার সব থেকে প্রভাবশালী লোকার মেয়েকে দিনে দুপুরে কিডন্যাপ করার কথা বলছিস ? তোর তো লাশটাও খুজে পাওয়া যাবে না । সাথে সাথে আমিও বালিশ ছাড়া শুয়ে পড়বো ।
-আরে রাখেন । এখন ওদের দল ক্ষমতায় নাই । কিছু হবে না । আপনি পারবেন কি না বলেন ?
তারপর মুখে একটু রাগের ভাব করে বলল
-এতো বড় সাহস ! আমাকে বলে আমার নাকি সাহস নাই । সাহস আজকে ওকে দেখাবো ।
তারপর আমার দিকে আবার বলল
-ভাই আপনে বড় ভাই । আপনার কাছে আসছিলাম একটু সাহায্যের জন্য । না করলে আর কি করা । যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছে ।
-হয়েছে আর ঢং করতে হবে না । দেখি কি করা যায় । ভেবেছিস কিছু ?
ইরফান হেসে বলল
-আরে আপনে আছেন না ? দুজন মিলে প্লান বানিয়ে ফেলবো নে ।
-হুম । হয়েছে । পরে ভাবা যাবে । চল আগে নুর বিরিয়ানী হাউজ থেকে কাচ্চি খেয়ে আসি ।
-চলেন !
ইরফান খুব ভাল করেই জানতো ওকে আমি ঠিকই সাহায্য করবো । তাই বলে কিডন্যাপ ? আল্লাহ রক্ষা কর !


ছয়
-ভাই পুলিশ !
একটু তন্দ্রার মত চলে এসেছিল । ইরফানের ডাকে তন্দ্রা ছুটে গেল । পুলিশের নাম শুনে ধাক্কা লাগলো বুকের ভিতর । আমি খানিকটা জোরেই বললাম
-কোথায় কোথায় ?
-পিছনে ? পেট্রল কার !
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি আমাদের পেছনে পুলিশের একটা পেট্রল কার ছুটে আসছে ।
এতো জলদি তো খোজ পাওয়ার কথা না !
তাহলে ? রেগুলার পেট্রলিং ? হতে পারে !
আমরা ততক্ষনে জঙ্গল এলাকায় ঢুকে পড়েছি । নির্জন রাস্তায় এতো জোরে মাইক্রো বাস ছুটে যেতে দেখে নিশ্চই সন্দেহ করেছে । আমি ইরফানের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখের নিশ্চিন্ত ভাবটা আর নেই । ওকে অভয় দিয়ে বললাম
-চিন্তা করিস না ।
তারপর সৌমিককে বললাম গাড়ির গতি কমাতে । দেখতে দেখতে পেট্রল কারটা আমাদের ক্রস করে সামনে গিয়ে থামলো । আমাদের কে থামতে হল ।
পুলিশ অফিসার নামার আগেই আমি চলে গেলাম অফিসারের গাড়ির সামনে ।
-কোন সমস্যা অফিসার ?
অফিসারের বয়স বেশি না । তবে ভুড়ির বেশ মোটা ।
-সমস্যা তো অবশ্যই । স্পীড লিমিট ক্রস করেছেন আপনারা । এতো তাড়াহুড়া কিসের শুনি ?
-মেয়ে নিয়ে পালাচ্ছি তো তাই এতো তাড়াহুড়া ?
আমার হাসি মুখ দেখে অফিসারটিও হেসে ফেলল । আমার হাতে ততক্ষনে দুটা পাঁচশ টাকার নোট চলে এসেছে । আস্তে গুজে দিলাম । তারপর বললাম
-আশা করি একটু লিমিট ক্রস করতেই পারি কি বলেন ?
-হে হে হে !
নোট দুটো পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে বলল
দেখুন পুলিশ তো জনগনের বন্ধু । আপনাদের সেফটির বিষয়টাতো আমাদের দেখতেই হয় ।
-তা তো অবশ্যই ! তা তো অবশ্যই ।
-আচ্ছা ঠিক আছে । এবার থেকে একটু আস্তে চালাবেন ঠিক আছে ।
-অবশ্যই ।

পুলিশ অফিসার আবার গাড়ির ভিতর ঢুকে গাড়ি স্টার্ট দিল ।


পরিশিষ্টঃ
গাজীপুরের রিজার্ভ ফরেষ্টের ভিতর শফিকের একটা বাংলো বাড়ি আছে । মাঝে মাঝেই এখানে আসা হয় বেড়াতে । বাড়ির কেয়ার টেকার ভাল করেই চিনে আমাকে ।
আজ দুদিন হল এখানে এসেছি । এখনও পর্যন্ত কোন সমস্যা হয় নি ।
তবে ঐ দিকে নাকি তুল কালাম কান্ড । মাহতাব আলী নাকি সারা এলাকায় তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে । যাক সে দিক । কারো অবশ্য এখনও ধারনাই হয় নি ইরফানের মত একটা ছেলে এমন একটা কাজ করতে পারে । ইরফান বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বলে এসেছে যে ওদের ক্লাস থেকে স্টাডি ট্যুরে যাবে দুদিনের জন্য । তাই এখনও ওদের বাসায় কোন সমস্যা হয় নি । আর এদিকের খবর বেশ ভাল । পরশুদিন সন্ধ্যার একটু আগেই এখানে এসেছি । সৌমিককে মোটা বকশিস দিয়ে বিদায় করেছি । কেয়ারটেকারের হাতেও কিছু টাকা দিতে হয়েছে ।

একটু ভয় ছিল বর্ষাকে নিয়ে । বর্ষার জ্ঞান ফিরে হয়তো চিত্‍কার চেঁচামেচি করবে কিন্তু সেই রকম কিছুই করে নি । রাতটা ঘুমিয়েই কাটিয়েছে । সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় এসে দেখি ওরা দুজন বাগানের ভিতর হাত ধরে হাটছে । এরই মাঝে মেয়েকে পটিয়ে ফেলেছে ।

ট্যালেন্ট পুলা ।

যাক এখন হয়তো বর্ষার চোখে ইরফান আর ভীতু নয় । বরং সাহসী ছেলে ।
কিন্তু যখন আবার বাসায় ফিরে যাবো তখন কি অবস্থা হবে ? একদিকে ইরফানের চাচা পুলিশ অন্য দিকে বর্ষার বাপ রাজনৈতিক নেতা ! দুই পাটাপুতার দুদ্ধে না আবার আমি পিষ্ঠ হই ?
যাক সেটা পড়ে দেখা যাবে । পরের টা পরে ! এখন ওদের বিয়ের ব্যবস্থাটা করে ফেলা দরকার !
কিন্তু সাক্ষীর কি হবে ?
আমি আর কেয়ারটেকার না হয় ইরফানের পক্ষের সাক্ষী হলাম ।
বর্ষার পক্ষের সাক্ষী কে হবে ?
কি হবেন নাকি সাক্ষী ?
চলে আসুন তাহলে !!   ঠিকানা তো জানেনই

বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)Место, где живут истории. Откройте их для себя