রাত্রীর গল্প

883 23 4
                                    

বছরের এই সময়টাতে সেন্ট মার্টিনের সমুদ্রের তীরে বেশ খানিকটা ভীড় থাকে । তবে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে এখন এখানে ভীড় একটু কমই বলা চলা । তার উপর এই সকাল বেলা সমুদ্র তীরে লোকজন দেখা যায় না বললেই চলে ।

রাত্রীরও এখন এখানে থাকার কথা না । তার এখন নিজের বিছানায় ঘুমানোর কথা । কিন্তু সে এখানে, এই সমুদ্র পাড়ে দাড়িয়ে আছে । সে দাড়িয়ে আছে চুপচাপ ।

সকালের সমুদ্রের বাতাসের ভিতরে একটা মন খারাপ করে দেওয়া ব্যাপার থাকে । রাত্রীরও মন খারাপ লাগছে তবে তার মন খারাপের কারন সকালেই সামুদ্রিক বাতাস নয়, বেশ খানিকটা দুরে সমুদ্রের দিকে মুখ করে দাড়িয়ে থাকা এক যুবক । যদিও তার মুখটা দেখে যাচ্ছে না তবুও রাত্রী জানে ঠিক তার মত করেই যুবক মন খারাপ করে বিষন্ন মুখে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে । হয়তো প্রতিদিনই দাড়িয়ে থাকে ।

-আফা ?

রাত্রী ফিলে তাকালো । লজের ছেলেটা এক হাতে এক গাছি ডাব নিয়ে তার সামনে দাড়িয়ে আছে হাসি মুখ । অন্য হাতে চকচক করে একটা দা ।

ছেলেটার বলল

-আফা ডাব আনছি ।

-আচ্ছা ।

গত কাল রাতে রাত্রীকে একে সকাল বেলা ডাব আনতে বলেছিল । সকাল বেলা নাকি ডাব খেলে সারাদিন পেট আর কোন প্রকার সমস্যা হয় না । রাত্রীর এখানে আশার পরে একটু সমস্যা হচ্ছে এখানকার খাবারে । তাই ডাব আনতে বলেছিল ।

-এই খানেই কাইট্টা দিমু ?

-দাও ।

দাও বলে আবারও সে সামনে দিকে ফিরে চাইলো । যুবক এখনও সমুদ্রের দিকেই তাকিয়ে আছে, এক ভাবে । কি দেখছে কে জানে ?

কি খুজছে সেখানে ?

রাত্রীর বড় জানতে ইচ্ছে হল । আবার রাত্রীর মনে হল সে উত্তর টা জানে ।

-আফা নেন ।

-ভুলু ।

-জি আফা ।

-ঐ লোকটা কে চেনো তুমি ?

হাত দিয়ে সমুদ্রের পাড়ে দাড়ানো যুবককে দেখালো রাত্রী ।

বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)Where stories live. Discover now