ততদিনে ক্লাসের প্রায়ই সবাই আমার স্বপ্নের ব্যাপারে জেনে গেছে । অনেকে এটাকে সিরিয়াসলি নিয়েছে আবার অনেকে এটাকে বিদ্রুপ করেছে । সেটা নিয়ে অবশ্য আমার খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই । আমি কারো কাছে গিয়ে কিছু বলি নি । কোন দিন এসবের ব্যাপারে কোন ক্রেডিট দাবি করি নি । কে কি মনে করলো তাই সেটা নিয়ে আমার খুব একটা চিন্তিত হওয়ার কোন কারন নেই । মানুষ যখন আমার কাছে এসে খুব করে অনুরোধ করে তখন আমি তাদের কিছু সাহায্য করি । এর বেশি কিছু না ।
কিন্তু আমাদের ক্লাসের রিয়া এসে যখন আমার কাছে সাহায্য চাইলো তখন আমি খানিকটা অবাক না হয়ে পারলাম না । রিয়াও যে এসব ব্যাপারে বিশ্বাস করবে সেটা আমার জানা ছিল না । ক্লাসে আমরা রিয়াকে কেবল দুর থেকেই দেখতাম । যে মেয়ে কোটি টাকার গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে আসে চাইলেই তার সহজে কথা বলা যায় না । বিশেষ করে আমাদের মত ছা-পোষা মধ্যবিত্তদের তো নয়ই ।
ক্লাসের শেষে আমি ক্যান্টিনে বসে বসে সিঙ্গারা খাচ্ছিলাম তখনই দেখি রিয়া ক্যান্টিনের ভেতরে ঢুকলো । এদিক ওদিক তাকিয়ে আমার দিকে চোখ পড়তেই আমার দিকে হাটতে লাগলো । আমার সামনে এসে বলল
-বসতে পারি ?
আমার তখন খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে । আমি খানিকটা অবাক হয়েই বলল
-বস ।
একটু কনফিউজ ছিলাম আপনি বলব কি না । কিন্তু একই ক্লাসে পড়ি বিধায় আপনি বলাটা হাস্যকর শোনাবে । তার উপর রিয়া নিজেও আমাকে তুমি করে বলেছে । রিয়া বলল
-তোমার সাথে কয়েকটা কথা বলতাম ।
-বল !
-আসলে কিভাবে যে বলব ঠিক বুঝতে পারছি না ।
আমি ততক্ষনে নিজেকে সামলে নিয়েছি । বলল
-বল সমস্যা নেই ।
-তোমার ব্যাপারে যে মানুষ জন যে কথা বলে সেটা কি সত্যি !
আচ্ছা এই তাহলে বিষয় । আমি খানিকটা হাসলাম । বললাম
-আসলে লোকে তো কত কিছুই বলে । সব কিছু কি বিশ্বাস করতে নেই ।
-কিন্তু আসলেই কিছু সত্য না ?
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।