-কই ? কি হল ? কিনে দাও । দাওওওও ।
দুই তিন বছরের মেয়ে যদি এমন করে কিছু কিনে দেওয়ার বায়না করে তাহলে মেনে নেওয়া যায় । কিন্তু কোন এইচএসসি পড়া মেয়ে যদি এমন বাচ্চা দের মত আহ্লাদ করে করে তাহলে তাকে থাপড়ইতে ইচ্ছা করে ।
আমার এখন তাইফাকে থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে করছে কিন্তু দিতে পারছি না । তাইফা আবার বলল
-কই দাও
-দেখো বাইরের জিনিস খেতে হবে না । এগুলো আনহাইজেনিক ।
-হোক আমি খাবো ।
-না ।
-খাবো ।
-না ।
-খাবো ।
আমি কঠিন চোখে তাইফার দিকে তাকানোর চেষ্টা করলাম । কিন্তু সেদিনে তাইফা বিন্দু মাত্র খেয়াল না দিয়ে আবারও সেই কথা বলতে লাগলো । সে ফুচকা খাবেই ।
আমি বললাম
-আইসক্রিম কিনে দিতে পারি । কিন্তু ফুচকা না ।
তাইফা কিছুক্ষন কি যেন ভাবলো । তারপর বলল
-আচ্ছা ঠিক আছে । কিন্তু পরের বার কিন্তু ফুচকা খাওয়াতে হবে ।
মেয়েদের কে নিয়ে বের হওয়া দুনিয়ার সব থেকে প্যারাময় একটা কাজ । কিন্তু এই কাজটাই করতে হচ্ছে কদিন থেকে । কোন প্রকার অজুহাত দিয়ে কাটানো যাচ্ছে না ।
কোন রকমে বাড়িতে কাটালেই এই বদ মেয়েকে কিছুতেই পেছ ছাড়ানো যাচ্ছে না । ঢাকায় আসার পর থেকে সব সময় ফয়সাল এখানে নিয়ে চল ওখানে নিয়ে চল । আরে আমি কি বাস ড্রাইভার নাকি যে এখানে ওখানে নিয়ে যাবো ।
তাইফা এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়েছে । দিয়ে কাউকে কিছু না বলে একা একা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় চলে এসেছে খালার বাসায় । এই মেয়ের এতো সাহস আমি নিজ চোখে না দেখলে ঠিক বিশ্বাস করতাম না । অবশ্য তাইফার খালা মানে রুনু আন্টির মুখে তাইফার কথা আগে থেকেই শুনেছি ।
মেয়ের কার্যকলাপের কথা আমার কম বেশি জানতাম । মেয়েটার গল্প শুনে একবার দেখার ইচ্ছা ছিল মনে কিন্তু সেই ইচ্ছা যে এমন ভাবে পূরন হবে ভাবি নি ।
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।