-এই । মিরা....।
পরীবাগের ওভার ব্রীজ থেকে নামতে নামতে একটা ডাক দিতে দিতে আটকে গেলাম । মীরা ততক্ষনে রিক্সায় উঠে গেছে । আরেকবার ডাকবো কি না বুঝতে পারলাম না । পরে আর না ডাকার সিদ্ধান্ত নিলাম । যদি আজকে মেয়েটি আমাকে চিনতে অস্বীকার করে ।
তাহলে ?
আমার তো মনে হয় আমাকে হয় তো আজকে সে আমাকে চিনবেই না । চেনার অবশ্য খুব একটা কারনও নেই । কেবল একটা দিন মীরার সাথে আমি কিছুটা সময় রিক্সায় করে পরীবাগ থেকে কাজীর গলি পর্যন্ত গিয়েছিলাম । ব্যস এই টুকুই।
গত পরশু দিনের কথা ।
পরীবাগ ওভার ব্রীজ থেকে নেমে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছি । বেশ খানিকটা পথ পরিবাগ থেকে কাজীর গলি । হেটে যাওয়া যায় তাতে বেশ খানিকটা সময় আর শ্রম খরচ হয় । আমি এই জায়গাটুকু রিক্সা করেই যাওয়ার চেষ্টা করি । কিন্তু মাঝে মাঝে রিক্সাওয়ালা গুলো বদ হয়ে যায় ।
আমাদের অর্থনীতির খুব সহজ একটা থিউরী আছে । যোগান কম এবং চাহিদা বেশি থাকলে সেই জিনিসের দাম বেড়ে যাবে । মাঝে মাঝে এখানে তেমনই হয়ে যায় । রিক্সা আছে ৫ টা যাত্রী সংখ্যা ২০ জন । এই সুযোগে রিক্সওয়ালাও নিজেদের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে ।
৩০ টাকার রিক্সা ভাড়া ৭০ টাকার নিচে কিছুতে যাবে না ।
আমার মত ছাপোষা মানুষের জন্য টাকা টা একটু বেশিই হয়ে যায় ।
কি করব ভাবছিলাম । তখনই মেয়েটাকে দেখতে পেলাম । আমার মতই কয়েকটা রিক্সাওয়ালার কাছে গেল তারপর আমার মতই হতাশ হয়ে ফিরে এল । শেষে আমার মত রাস্তার পাশে এসে দাড়ালো । তাকিয়ে রইলো নতুন কোন রিক্সা আসে নাকি ।
আমি খানকটা ইতস্থতঃ করে মেয়েটির দিকে এগিয়ে গেলাম । জানি না মেয়েটির কি বলবে কিন্তু একবার বলতে অসুবিধা নেই ।
-হ্যালো ?
মেয়েটি আমার দিকে স্বাভাবিক ভাবেই তাকালো । সাধারনত মেয়েরা এমন হয় না । অপরিচিত ছেলেরা মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা খানিকটা বিরক্ত হয় কিংবা সন্দেহের চোখে তাকায় ।
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।