-মেয়ে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক দেয় ।
মা আমার কথা শুনে কিছু সময় কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো । বিয়ের পাত্রীর বাতিলের পেছনে এমন কারণও যে থাকতে পারে এটা সম্ভবত মায়ের মাথাতে ছিল না। বলল
-কি বললি ?
-বললাম এই মেয়ে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক দেয় । এই মেয়ের সাথে আমি বিয়ে করবো না ।
-গাঢ় লিপস্টিক দিলে কি সমস্যা ?
-সমস্যা আছে । তোমাকে বলা যাবে না ।
মা কি বলবে ঠিক খুজে পেলেন না । এইবারের এই মেয়ে তিনি খুজে নিয়ে এসেছেন । প্রতিবার বাবা কিংবা বাবার দিককার কেউ বিয়ের পাত্রীর খোজ দেন আর মা সেটাতে হাজারও ভুল বের করে । আমার ভালই হয় আমার কাজটা মা আর বোন মিলে সম্পন্ন করে দেয় । আমাকে কিছু করতে হয় না ।
জর্জ বার্নার শ বলেছেন যে পুরুষ মানুষের জীবনের সব থেকে বড় লক্ষ হচ্ছে যত বেশি দিন সম্ভব অবিবাহিত থাকা যায় । আমি বার্নার শ সাহেবের কথা পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি ।
তার উপরেও আমার খানিকটা লিপস্টিক দেওয়া মেয়েদেরকে কেন জানি ঠিক পছন্দ হয় না, তা সে যত সুন্দরই হোক না কেন । যদিও এটা একটা অযুহাত মাত্র ।
মা আর কোন কথা না বলে উঠে গেল । তাকে মোটেই সন্তুষ্ট মনে হল না । মেয়েটি শুনেছি মায়ের কোন এক বান্ধবীর মেয়ে । অন্য দিক দিয়ে মেয়ে নাকি অরিনের ভাল বন্ধুও হয় । দুই প্রজন্মের বান্ধবী তারা । আমাদের বাসাও কয়েকবার এসেছে । যদিও আমি খুব একটা ভাল করে মেয়ে কে লক্ষ্য করি নি এর আগে । আজকে বিকেলেই প্রথম বারের মত ভাল করে লক্ষ্য করলাম ।
মেয়ে দেখতে অরিন আর আমি গিয়েছিলাম । যদিও আমরা সবাই জানতাম এটা বিয়ে পুর্ববর্তী দেখা সাক্ষাত তবুও এমন একটা ভাব করতে লাগলাম যেন খুবই ক্যাজুয়াল একটা দেখা সাক্ষাত । ছোট বোনের বান্ধবীর সাথে শপিং মলে দেখা হয়ে যাওয়া এমন একটা কিছু ।
নিশির প্রথম যে জিনিস টা আমার চোখ পড়লো যে ওর ঠোঁটে লাল গাঢ় লিপস্টিক । আমার চোখ আর অন্য কোন দিকে গেল না । মনে মনে বললাম এই মেয়ে কে কিছুতেই বিয়ে করা যাবে না ।
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।