-কটা বাজে ?
-বারোটা প্রায় ।
-কার ঘড়ির না আপনার ?
ছেলেটা আমার দিকে কিছুক্ষন বোকার মত তাকিয়ে রইলো । আসলে আমি এমন একটা কথা বলব ছেলেটা ভাবতে পারে নি । আমি হাসতে থাকলাম । ছেলেটা বলল
-না । আমার বারোটা কেন বাজবে ?
-বাজতেও পারে । বলা যায় না । ছেলেদের অবশ্য বারোটা বেশি বাজে এবং দ্রুত বাজে ।। হি হি হি ।
এই রকম একটা অপরিচিত ছেলের সামনে এই ভাবে হাসাটা ঠিক না তবে আমার কেন জানি মজা লাগছে । অবশ্য আজকে দিনটাই একটা অন্য রকম একটা দিন । কাজ কারবার করছি সব উল্টা পাল্টা । যা করছি সবই ভাল লাগছে ।
বাসে করে নানী বাড়ি যাচ্ছি । একা । এবং সেটা বাসার কেউ জানে না । গত কাল রাতে আম্মু আমাকে বিনা কারনে বকা দিয়েছে তখন থেকেই মেজাজ খারাপ ছিল । কিছু একটা করতে ইচ্ছে করছিল যাতে আম্মুর একটা শিক্ষা হয় । আমি না থাকলে ঠিকই বুঝতে পারবে আমি কি ।
তাই তো সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিক ভাবে নাস্তা খেলাম তার পর বের হয়ে এলাম । একটু এদিক ওদিক ঘুরলাম । তারপর এই সিদ্ধান্ত নিলাম । কেউ জনাবেও না আমি কোথায় যাচ্ছি । মোবাইল ফোন টা বন্ধ করে রেখেছি । এখন খুজে বের করুক আমাকে ।
বাস ছাড়তে ছাড়তে প্রায় এগারোটা বেজে গেল । বাসটার নাম "দ্য রয়েল একপ্রেস" । নানুদের বাসায় যাবার জন্য সব থেকে ভাল বাস । আমি টিকেট কেটে উঠে পড়লাম বাসে । বাসে উঠার পর একবার আম্মুর জন্য মন খারাপ লাগছিল । আব্বুও নিশ্চই অনেক অস্থির হবে ।
হোক একটু । বিকেলে নানুর বাসায় পৌছে একটা ফোন করে দিলেই হবে ।
বাসে উঠার পর অবশ্য বেশ মজা লাগছিল । একা একা ৪/৫ ঘন্টার একটা জার্নি । মজাই লাগছিল । তবে ভয়ে ছিলাম আমার পাশে কে বসবে এই টা নিয়ে । যদিও জানলার ধারে সিট পাই নি, আমি জানলার পাশেই বসলাম । যে আসবে তাকে রিকোয়েস্ট করলে নিশ্চই আমাকে উঠিয়ে দিবে না ।
মেয়েদের রিকোয়েস্ট ছেলেরা ফেলতে পারে না । তবে মেয়ে আসলে ভিন্ন কথা ।
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।