-ভাইয়াআআআআ !
বিকেলের এই সময় টাতে আমি ছাদে থাকি । সারাদিনের পর এই সময় টা ছাদে কাটাতে ভাল লাগে । যদিও প্রতিদিন সম্ভব হয় না তবুও বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে থাকতে ভাল লাগে । কিভাবে লাল সূর্যটা আস্তে আস্তে দুর আকাশে মিশে যায় এটা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি । সময় ভাল কাটে ।
-ভাইয়া ।
আমি পিছন ফিরে তাকালাম ।
তাইফা দাড়িয়ে আছে । সেই চিরায়িত শর্ট জিন্স আর শার্ট পরে । মেয়েটা এখনও বড় হল না ! ছোটই রয়ে গেল ।
-ভাইয়া ।
তাইফা এমন ভাবে আদর দিয়ে ভাইয়া ডাকে বুকের ভেতর যেন করে ওঠে । হয়ত সবার সাথেই ও এমন ভাবেই কথা বলে । এমন যত্ন করে ডাকে । আমি বললাম
-হুম ।
-কি করেন ?
-কিছু না ।
-কি বলেন কিছু না । প্রতিদিন আপনাকে দেখি এখানে । বিকেলে ছাদে কি করেন শুনি ? হুম হুম ! বলেন বলেন !
আমি তাইফার কথা শুনে হেসে ফেলি । তাইফা এবার ক্লাস টেন এ উঠেছে । ক্লাস টেন এ পড়া মেয়েদের ভিতর যথেষ্ঠ মেয়েত্ব ভাব চলে আসে বিশেষ করে সেই মেয়েটা যদি সুন্দরী হয় । টেনে কথা বলা শুরু করে, যাকে তাকে পাত্তা দেওয়া বন্ধ করে দেয় । কিন্তু তাইফার ভিতরে এখনও তেমন কিছুই দেখলাম না ।
তাইফা আবার বলল
-ফয়সাল ভাইয়া । কালকে আমাকে এক জায়গায় নিয়ে যাবেন ?
-কালকে ?
-কেন ? কোন কাজ আছে ?
-কাজ ?
হুম । কাজ তো একটা আছেই কিন্তু যাবো কি না বুঝতে পারছি না । কালকে ভেবেছিলাম নুশরাতের সাথে দেখা করতে যাবো ।
ঠিক দেখা হবে কি না বুঝতে পারছি না তবে একটা চেষ্টা তো করতেই হবে ।
বেশ কয়েকদিন ধরে নুশরাতের সাথে কোন যোগাযোগ নেই ।
এই আধুনিক যুগে মানুষের সাথে যোগাযোগ করার হাজার টা উপায় আছে কিন্তু তার পরেও নুশরাতের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে পারছি না । মনে হচ্ছে নুশরাত ঠিক ততগুলো উপায়েই আমাকে ইগনোর করে চলেছে । যে মোবাইল নাম্বার টা ও দিয়েছিল সেটা বন্ধ । বেশ কয়েকবার কল করে পাই নি । মেসেজ পাঠিয়েও কোন ডেলিভারি রিপোর্ট আসে নি । তার মানে সে সিম টা চালুই করে নি । ফেসবুক আইডিও ডিএকটিভ করে রেখেছে ।
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।