মেয়েটির চেহারাটা আমি একটা তীব্র বিস্ময় দেখতে পেলাম । মেয়েটি আমাকে এখানে মোটেই আশা করে নি । মেয়েটির মেয়েটির চেহারায় তারপর আমি একটা লজ্জার আভা দেখতে পেলাম । অবশ্য এটার পেছনে একটা কারনও আছে । মেয়েটি একটা আকাশী রংয়ের টপ পরেছে, সেই সাথে একটা লাল সর্ট স্কার্ট পরেছে । তবে পায়ের অংশে সে পরেছে লম্বা কালো স্টকিং । মেয়েটাকে দেখতে নায়িকাট মত লাগছে । এমন পোশাক সাধারনত এই দেশে খুব একটা প্রচলিত নয় । অনেকে হয়তো পরে তবে সেটা একেবারে সীমিত এলাকার ভেতরে।
মেয়েটাও পরে ছাদে এসেছিলো সম্ভবত কিছু ছবি তোলার জন্য । আমাকে এখানে সে আশা করে নি মোটেও । আমি কিছু বলার আগেই দেখলাম মেয়েটা ঝড়ের বেগে দৌড়ে সিড়ির দিকে দৌড় দিল । সিড়ি ঘরের দরজার সামনে গিয়ে একটু দাড়ালো । তারপর অদৃশ্য হয়ে গেল । আমি কিছু সময় বোকার মত চেয়ে রইলাম । মেয়েটা লজ্জা পেয়েছে ।
মেয়েটির সাথে আমার আবার দেখা হল দুইদিন পরে । লিফটের ভেতরে । তবে এইবার মেয়েটার সাথে সম্ভবত মেয়েটার মা ছিল । চেহারা দেখে মনে হল । মেয়েটা কলেজ ড্রেস পরে ছিল । দুদিনের আগের চেহারার সাথে আজকের চেহারাটার ভেতরে একটা পার্থক্য খুব ভাল করে পরিলক্ষিত হল ।
তবে মেয়েটা আমাকে ঠিকই চিনতে পারলো । চিনতে পারার সাথে সাথেই একটা লজ্জার রেখা দেখতে পেলাম । আমি লিফটের এক দিকে দাড়ালাম । আমাদের মাঝে বেশ কয়েকবার চোখাচোখি হল ।
মেয়েটির সাথে আমার কথা হল আরও চার দিন পরে । ছাদে বসে মোবাইল টিপছিলাম তখনই মেয়েটা আবার এসে হাজির হল । তবে আজকে আর গতদিনের মত পোশাক পরে ছিল না । আজকে মেয়েটা কালো টিশার্ট পরেছিলো । আর সাদা রংয়ের টাইট প্যান্ট । আমার মানতেই হবে যে মেয়েটা সত্যিই চমৎকার দেখতে । আমার দিকে একটু করে এগিয়ে এল সে । তারপর বলল, ঐদিন এভাবে চট করে চলে এলে কেন? কোথায় আসার আগে নক করতে হয় জানেন না ?
আমি একটু হাসলাম । তারপর বললাম, ছাদেও ! আমি জানতাম এই ছাদে কেউ আসে না ।
মেয়েটি বলল, আমিও তাই জানতাম । তাই এসেছিলাম ।
বললাম, যে পোশাক পরে লজ্জা পাও সেটা পরার দরকার কি শুনি ?
YOU ARE READING
বুক পকেটের গল্পরা (ভলিউম ০৩)
Short Storyব্লগে গল্প লিখছি সেই ২০১১ সাল থেকে । অনেক গল্প সেখানে জমা হয়ে গেছে । সেই গল্প গুলোই আস্তে আস্তে এখানে এনে জমা করা হচ্ছে । দুইটা ভলিউম এর আগে প্রকাশ হয়েছে ।