৫.
ট্রেন তো ফেলে চলে গেলো। এবার কি হবে?
মিশু শানের উপর বসে একটু ঝুঁকে আছে পায়ের দিকে চেয়ে। হাঁটুতে বেশ জোরেই আঘাতটা পেয়েছে। ব্যথার চোটে চোখ আপনা আপনি বুজে আসতে চাইছে। খুব সম্ভবত জায়গাটা ছিলে গেছে। দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করতে চেষ্টা করলো মিশু। তাকালো মেঘালয়ের দিকে।
মেঘালয় খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে এগিয়ে আসছে ওর দিকে। বাম পায়ে ব্যথা পেয়েছে নাকি ডান পায়ে সেটা ঠিক ঠাওর করা যাচ্ছেনা। মনেপ্রাণে চেষ্টা করছে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটার,তবুও বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। হাঁটার গতিও দ্রুত হচ্ছেনা। সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে পায়ে ইনজুরি হয়েছে। তবুও মেঘালয় দ্রুত এগোচ্ছে মিশুর দিকে। মিশু উঠে দাঁড়াতে পারছে না, বসে ঝুঁকে আছে।
মেঘালয় কাছাকাছি আসার পর মিশু উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করলো। মেঘালয় হাত ধরে টেনে তুললো ওকে। মিশু উঠে দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে বললো, "কি হয়েছে আপনার পায়ে?"
-"ও কিছুনা। তুমি এরকম বোকার মত কাজটা করলে কিভাবে? এভাবে কেউ চলন্ত ট্রেন থেকে লাফায়?"
-"আপনাকে এ অবস্থায় দেখার পর কিভাবে ফেলে যাই?"
-"গাড়ির শিকল টেনে ধরলেই পারতে।"
-"শিকল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আপনি ব্যথা পেলেন কিভাবে বলুন তো?"
মেঘালয় ডান পা টা ঝাড়া দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বললো, "আর বলোনা। দু তিনটা ছোট ছোট বাচ্চা আমার ফোন ছিনতাই করার চেষ্টা করছিলো আরকি। অনেক্ষণ থেকে ফলো করছিলো মেয়বি। আমি একটাকে ধাওয়া করতে যেতেই ইট ছুড়ে মেরেছে পায়ে।"
মিশু মেঘালয়ের পায়ের দিকে তাকিয়ে বললো, "ইস! খুব লেগেছে তাইনা?"
-"সেরকম নয়। আমিতো ভাবলাম তোমার পা ভেঙে গেছে।"
-"আমার পা ঠিক আছে একদম। তবে একটু জোরে লেগেছে আরকি।"
মেঘালয় একটা বেঞ্চ দেখতে পেয়ে সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু মিশু চেষ্টা করেও টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যাচ্ছিলো। পা ফেলতে কষ্ট হচ্ছে এখন। মেঘালয় হাত ধরে ধরে ওকে নিয়ে গিয়ে বেঞ্চে বসালো। জিজ্ঞেস করলো, পায়ে কেটে গেছে এরকম ফিল করছে কিনা?
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...