মৌনিকে দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলো মিশু। মৌনিও বিস্ময়ের সুরে বললো, 'তুমি!'
কি বলবে বুঝতে না পেরে মিশু বললো, 'আপু ভেতরে আসুন। এটা আমাদেরই বাড়ি।'
বাড়ি মানে! অনেকটা হতভম্বের মত তাকিয়ে রইলো মৌনি। মিশুকে এখানে দেখতে পাবে সেটা আশাও করেনি সে। সকালবেলা কল দিয়ে মেঘালয় এখানকার ঠিকানা দিয়ে বলেছিলো একটা সমস্যা হয়ে গেছে, দ্রুত আরাফ কে নিয়ে চলে আসতে। কিন্তু এখানে এসে মিশুকে এভাবে দেখতে পাবে সেটা কল্পনাও করেনি ওরা। আরাফ নিজেও অবাক বনে গেছে। মৌনি মিশুর দিকে আপাদমস্তক তাকিয়ে ভাবতে লাগলো নানান আঁকিবুঁকি। মেয়েটা শাড়ি পড়ে আছে আর এটা ওদেরই বাড়ি, মেঘালয় এখানেই আছে। তারমানে একটা ঘটনা নিশ্চয়ই আছে এখানে। কি ঘটতে পারে সেটা ভেবেই শিউরে উঠলো মৌনি।
মিশু আরাফের দিকে তাকিয়ে বললো, 'ভাইয়া আসুন।'
আরাফ বিস্ময়ের সাথে বললো, 'মেঘ কোথায়?'
- 'উনি গোসলে গেছেন একটু। এক্ষুনি আসবেন হয়ত।'
আরাফ ও মৌনি একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। মিশু ভেজা চুলে শাড়ি পড়ে বউয়ের মত সেজেছে, মেঘালয়ও গোসলে গেছে, ওদের মধ্যে কিছু.... মৌনির অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। চঞ্চল হয়ে বললো, 'ভাইয়া ভালো আছে তো?'
মিশু মাথা ঝাঁকিয়ে বললো, 'হ্যা আপু ভালো আছে। আপনারা ভেতরে আসুন না।'
মৌনি ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে মিশুকে ভালো মত খেয়াল করছিলো। মেয়েটাকে এখন অনেক সুশ্রী লাগছে। ট্রেনে নিতান্তই বাচ্চাদের মত লাগছিলো। এখন দেখে কিশোরী বউ বউ লাগছে৷ অন্যরকম স্নিগ্ধতা ছেঁয়ে আছে ওর চেহারায়।
মিশু মৌনি ও আরাফ কে বসার ঘরে বসতে বলে নিজে গেলো মেঘালয়কে ডাকতে৷ ওয়াশরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে ডাকলো, 'এইযে শুনছেন?'
- 'এভাবে বললে শুনবো না। শাবানার মত বলো ওগো শুনছো?'
- 'তারাতারি গোসল শেষ করে বাইরে আসুন।'
মেঘালয় দরজা খুলে মাথাটা বাড়িয়ে দিয়ে বললো, 'একটু গোসল করতেও দেবেনা? গোসলের সময়েও কাছে চাও তাইনা?'
أنت تقرأ
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
مغامرةমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...