25

1.1K 43 0
                                    

২৫

ঘুম থেকে ওঠার পর মিশু একটু নড়তেই মেঘালয় শক্ত করে জাপটে ধরে বললো, 'উহু নড়াচড়া কোরো না তো।'

- 'আমরা বাইরে যাবো কখন?'

- 'যাবো রে বাবু। একটু শান্তিমত ঘুমাও তো এখন।'

মেঘালয়ের চাপে পড়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়লো মিশু৷ হোটেলে পৌঁছে গোসল সেরে নাস্তা করেই ঘুমিয়ে পড়েছে দুজনে। এখনও ঘুমে।

দুপুর গড়িয়ে এলো। দুপুর দুইটায় মেঘালয় ঘুম থেকে উঠে পড়লো। মিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো মেয়েটা দুইদিনেই কেমন ফর্সা হয়ে গেছে। মুচকি হেসে মিশুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো মেঘালয়। তারপর উঠে পড়লো বিছানা থেকে।

ফ্রেশ হয়ে এসে একটা স্কাই কালার গেঞ্জির সাথে কোয়ার্টার প্যান্ট পড়লো। চুল আচড়ে নিয়ে আবারও শুয়ে পড়লো মিশুর পাশে। মিশুর গালে একটা আঙুল দিয়ে স্পর্শ করার চেষ্টা করতেই ও মেঘালয়ের গলা জড়িয়ে ধরে বললো, 'কামড় দিও না, কামড় দিওনা প্লিজ।'

মেঘালয় হাসতে হাসতে বললো, 'তুমি ঘুমাচ্ছো।'

চোখ মেলে তাকালো মিশু। কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলো, 'আমি কি বলেছি একটু আগে?'

- 'কামড় দিতে বারণ করেছো।'

- 'ছিহ আমি খুব খারাপ।'

হেসে ফেললো মেঘালয়। মিশুকে জোর করে টেনে তুলে কোলে বসিয়ে নিলো। মেঘালয়ের কোমরের দুইদিকে দুটো পা দিয়ে পিঠের উপর দুইপা একত্র করে মেঘালয়কে আবদ্ধ করে ফেললো মিশু। দুহাতে জাপটে ধরলো মেঘালয়ের গলা। মেঘালয় এভাবেই ওকে কোলে নিয়ে বেলকুনিতে চলে এলো। বেলকুনিতে দাঁড়ানো মাত্রই স্তব্ধ হয়ে গেলো মিশু।

সামনে যতদূর চোখ যায় শুধু বিস্তৃত সমুদ্র! নীলাকাশ সাগরের নীলে মিশেছে এসে। চোখ ফেরানো দায়। সুইমিংপুল টাও নীল, হোটেলের সামনের দৃশ্যটাও নীল। বেশ উপভোগ্যকর লাগছে দেখতে। মিশু মেঘালয়ের গলাটা জাপটে ধরে বললো, 'আমি কি স্বপ্ন দেখছি?'

মেঘালয় মিশুর ঘাড়ে মুখ গুঁজে দিয়ে বললো, 'স্বপ্নে কি এরকম ফিল করা যায়?'

শিউরে উঠে চোখ বন্ধ করলো মিশু। মেঘালয় পিছনে পিছিয়ে এসে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো। মিশুকে টেনে নিলো নিজের বুকের উপর। দুহাতে কোমরে জাপটে ধরে পিচ্চি মেয়েটাকে নিজের সমানে সমান করে নিলো। তারপর চোখে চোখ রেখে বললো, 'ঘোর ঘোর লাগছে না?'

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora