৫৮
বাবা মায়ের সাথে ফোনে কথা বলার পর কিছুক্ষণ মেডিটেশন করলো মিশু। বারবার মেঘালয়কে মনে পড়ে যাচ্ছিলো। মেডিটেশন করার ফলে মেঘালয়ের ভূতটা মাথা থেকে নেমে গেছে। রাতের খাবার শেষ করে একেবারে শান্ত হয়ে পড়তে বসে গেলো।
ঘুমানোর ফলে শরীরটা ফুরফুরে হয়ে গেছে। আজ আর ঘুমাতে হবেনা, আজকে শুধুই পড়াশোনা। কিছুক্ষণ বেসিক রুলস নিয়ে ঘাটাঘাটি করে অনলাইনে ঢুকে গেলো। টেন মিনিট স্কুলে ঢুকে সরাসরি পরীক্ষা দিতে লাগলো। একেকটা পরীক্ষা দেয়ার পর উত্তর নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে শুরু করলো। এভাবে রাত দুইটা পর্যন্ত শুধু অনলাইনেই ইংলিশ পরীক্ষা দিয়ে গেলো। অনেক দিন পর প্রাক্টিস করতে বসে মগজ ঝালাই হয়ে যাচ্ছে।
পড়তে পড়তে বোর লাগছিলো। উঠে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ইংলিশে কথা বললো একা একা। বারবার আটকে যাচ্ছে, জড়তা কাজ করছে।দীর্ঘদিন ইংরেজিতে কথা বলা হয়নি। কিছুতেই পারছে না কথা বলতে। মিনিট পনেরো চেষ্টা করার পর এক কাপ চা খেয়ে আবারো পড়তে বসলো। এবার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির এডমিশন টেস্টের প্রশ্নপত্র ঘাটাঘাটি করতে লাগলো। সবই ইংরেজিতে হওয়ায় খুব মজা লাগছে মিশুর। কারণ ইংলিশ পড়তে ও সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট সলভ করতে করতে ফজরের আযান হয়ে গেলো। মিশু একটা জিনিস ভালোভাবেই জানে, যে ধর্মেরই ব্যক্তি হোক না কেন, প্রার্থনা অত্যন্ত জরুরি। এখন থেকে নিয়মিত প্রার্থনায় মনোযোগী হতে হবে। ওযু করে এসে নামাজে বসে গেলো। নামাজ শেষ করে উঠে আবারো কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ইংলিশ লেটারেচার পড়তে আরম্ভ করলো। পড়তে পড়তে কখন যেন ঘুম এসে গেলো চোখে। বিছানায় এসে শোয়ামাত্রই ঘুমে ঢলে পড়ল।
পরেরদিন টাও পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে রইল। নিজের সবটুকু ঢেলে দিতে হবে এই পরীক্ষায়। এতদিনের অর্জিত সমস্ত মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। প্রস্তুতি আগে থেকেই নেয়া ছিলো, মাঝখানে কয়েকটা দিন বিরতি দেয়ায় জড়তা এসে গেছে। টানা চব্বিশ ঘন্টা আবারো চর্চা করার ফলে জড়তা কেটে গেলো। বেশ মজা পাচ্ছে পড়াশোনা করতে।
ŞİMDİ OKUDUĞUN
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Maceraমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...