60

1.1K 41 0
                                    

৬০

মিশু ফ্রেশ হয়ে এক্সারসাইজ করতে লেগে গেলো। কয়টাদিন ব্যায়াম করা হয়নি। শরীরটা ভারি ভারি লাগছে। এক ঘন্টা সময় নিয়ে ব্যায়াম করলো ও। মিফতা ওর ব্যায়াম করা দেখে বললো, 'তোর যা ওয়েট, আবার ব্যায়াম করছিস কেন?'

- 'শরীরটা ফিট রাখতে। ব্যায়াম কি শুধু ওজন কমাতেই করে? সুস্থতার জন্যও করতে হয়।'

- 'চল জিমে যাই তোকে নিয়ে। দুই ঘন্টা সব ধরণের ব্যায়াম করবি। আকর্ষণীয় ফিগার গড়ে উঠবে।'

মিশু একটু ভেবে বললো, 'আচ্ছা চল। ব্রেকফাস্টের পর যাই।'

জিমন্যাশিয়ামে সময় কাটিয়ে বিকেলের দিকে বাসায় ফিরলো ওরা। বেশ উদ্দীপনা কাজ করছে মিশুর ভেতরে। অনেক ভালো ও লাগছে শরীরটা। বেশ ঝরঝরে লাগছে। গোসলের পর একটা লম্বা ঘুম দিলো। ঘুম থেকে উঠে কফি খেতে খেতে একটা বই নিয়ে বসল। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

মিফতা এসে মিশুর পাশে বসে বললো, 'কিরে কি পড়ছিস?'

- 'দ্য ভিঞ্চি কোড বইটা। অসম্ভব সুন্দর রে আপু। তোর বুক সেলফে অনেক বই। আমি সব বই পড়ে ফেলবো।'

- 'হুম পড়। ভাইয়ার সাথে আরো কথা হয়েছে?'

মিশু চমকে উঠলো। সকালে ফোনটা এয়ারপ্লেন মুডে রাখার পর আর জেনারেল মুড করা হয়নি। ছেলেটা বোধহয় সারাদিন কল দিয়েছে। ধেৎ, কি যে করিনা আমি।

মিশু ফোনটা নিয়ে এয়ারপ্লেন মুড অফ করে দিলো।

তারপর মিফতাকে বললো, 'খুব ভালো রে মানুষটা।'

মিফতা বললো, 'সেটা তো বুঝেই গেছি। নয়ত আইফোন পাঠিয়ে দেয়? এনিওয়ে, তোর ফোনটা কিন্তু জোশ হইছে।'

- 'আর আমার মানুষটা?'

- 'হিংসে হচ্ছে হিংসে। মানুষটাকে হারাতে দিস না মিশু, নয়তো অনেক বড় কিছু হারিয়ে ফেলবি। কোনোদিনো পারবি না সুখী হতে।'

মিশু আনমনা হয়ে গেলো। মানুষটাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই তো এতকিছু। মিশু তো নিজেকে নিয়েই খুশি ছিলো। সেই মানুষটার পাশে দাঁড়ালে যেন মানায়, মানুষটা যেন সবসময় প্রশান্তি নিয়ে মিশুর সাথে চলাফেরা করতে পারে সেজন্যই এতকিছু করছে মিশু। মেঘ যেন মন থেকে খুশি থাকে। একটা স্মার্ট ছেলে সবসময় স্মার্ট মেয়েকেই চাইবে এটাই স্বাভাবিক। মেঘের যেন কখনো মন খারাপ না হয় ওকে নিয়ে, তাইতো এত কষ্ট স্বীকার করছে ও।

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now