৯.
মেঘালয় বললো, 'পৃথিবীতে অনেক রকমের ছেলে আছে জানো?'
মিশু মাথা নেড়ে 'না' বললো।
মেঘালয় বললো, 'তুমি খুব সরল একটা মেয়ে। সেজন্যই এত বড় ধোকা খেয়েছো। আশাকরি এরপর থেকে আর এরকম ভূল কখনো করবে না। সবকিছুর আগে নিজেকে ভালোবাসো,নিজেকে সম্মান করো বুঝেছো?'
মিশু মাথা দোলালো। তারপর বললো, 'আমি তন্ময়কে অনেক বিশ্বাস করতাম। ওর কোনো কথাই কখনও অবিশ্বাস্য ছিলোনা। সে আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিতো।'
- 'সাপোর্ট দিলেই ছেলেটা ভালো হয়ে যায়না। আর যেহেতু তোমাদের প্রেমটা ভার্চুয়ালে। চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসেনা।'
মিশু নিরবে শুনে গেলো কথাগুলি। মেঘালয়ের কণ্ঠস্বর আর উচ্চারিত প্রত্যেকটা বাক্যই ওকে মুগ্ধ করে দিচ্ছে। মানুষটা সত্যিই অনেক ভালো একজন মানুষ। এমনকি ওর বন্ধুগুলোও সবাই একদম আলাদা।
মিশু জিজ্ঞেস করলো, 'আপনারা বিয়ে বাড়িতে কতদিন থাকবেন?'
- 'সপ্তাহ খানেক তো থাকবো ই।'
- 'আমাদের বাসায় আসবেন অবশ্যই। যারা আমার এতটা উপকার করেছে তাদেরকে অবশ্যই বাসায় নিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে।'
- 'সেটা দেখা যাক। তোমাদের এলাকায় একবার গিয়েছিলাম আমি। সেবার কি হয়েছিলো জানো?'
মিশু চাদরের ভেতরেই একটু নড়েচড়ে বসলো। তারপর জানতে চাইলো কি হয়েছিলো?
মেঘালয় বলতে আরম্ভ করলো, 'সেবার বেড়াতে গিয়ে একটা বাচ্চা মেয়ে আমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলো।'
মিশু ফিক করে হেসে বললো, 'তারপর?'
- 'মেয়েটা ক্লাস নাইনে পড়তো। সেকি পাগলামি যে করতো। ওর পাগলামির সীমা দেখে মেয়েটির বাবা নিজেই আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলো বিয়ে করার জন্য।'
হেসে ফেললো মিশু৷ অতটুকু বাচ্চা মেয়েকে তো আর বিয়ে করা সম্ভব নয়। মেঘালয়ের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে গভীরভাবে কি যে ভাবছে। জিজ্ঞেস করলো, 'কি ভাবছেন?'
চমকে উঠলো মেঘালয়। তারপর কথাগুলো মনে করে করে মিশুকে খুলে বলতে লাগলো।

YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...