৫৯
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে হৃদস্পন্দন অনেক বেড়ে গেলো মিশুর। বেশিরভাগ প্রশ্নই ওর জানা রুলসের মধ্যেই পড়েছে। দ্রুত একটা একটা করে গুছিয়ে উত্তর দিতে আরম্ভ করলো। অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। মিশু মনোযোগ দিয়ে সমাধান করে যাচ্ছে। ধীরেধীরে সবগুলো উত্তর করা শেষ হয়ে গেলে আরেকবার পড়ে দেখলো। উত্তেজনায় বুকটা কাঁপছে মিশুর। অনেক আশা নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলো। প্রশ্নপত্র দেখে মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে ওর।
পরীক্ষা দিয়ে বাইরে এসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো। এখন দেখা যাক কি হয়। খুশিমনে চাচার বাসায় ফিরে এলো মিশু। রাতে ভালোমতো ঘুম হয়নি। ঘুমানো প্রয়োজন। গোসল সেরে খেয়েদেয়ে ঘুম দিলো একটা। টানা তিন ঘন্টা ঘুমিয়ে আজকেও শরীরটা ফুরফুরে লাগছে। কিন্তু আজকে তো আর পড়াশোনার চাপ নেই। কি করা যায় তাহলে? বাসায় কবে যাওয়া যায় সেটা পরের বিষয়। এখন কি করা যায় সেটা আগে ঠিক করতে হবে।
কম্পিউটারে বসে গেমস খেললো কিছুক্ষণ। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলগুলো বিভিন্ন স্টাইলে বেঁধে নিজেকে দেখছিলো কেমন দেখায়। সবসময় একই স্টাইলে চুল বেঁধে না রেখে মাঝেমাঝে ভিন্ন স্টাইলও করা যায়। এতে একটা আলাদা লুক চলে আসবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অনেক্ষণ খেলা করলো। রাতের খাবার খাওয়ার পর বুক সেলফ থেকে একটা বই নিয়ে পড়তে বসে গেলো।
কিছুক্ষণ পর মিফতা এসে ফোনটা দিয়ে বললো, 'ভাইয়া ফোন দিয়েছে।'
উত্তেজিত হয়ে ফোন রিসিভ করলো মিশু। বললো, 'কেমন আছেন?'
- 'ভালো। আজকে রাজকন্যার মনটা খুব ভালো মনেহচ্ছে?'
- 'হুম। দারুণ রকমের ভালো। আচ্ছা, গতরাতে আপনি ঘুমিয়েছিলেন?'
- 'হুম। ফ্রেশ ঘুম দিয়েছি। প্রতিরাতে এভাবেই কথা বলবা তাহলেই ঘুম আসবে।'
- 'আমি জানি আপনি কোলবালিশের সাথে লটর পটর করেছেন।'
হো হো করে হেসে উঠলো মেঘালয়। হাসতে হাসতে বললো, 'দুষ্টু। তোমার চঞ্চল কণ্ঠ শুনলে ভালো লাগে আমার। সবসময় এরকম চঞ্চল ই থাকবা তো?'
![](https://img.wattpad.com/cover/188007503-288-k560327.jpg)
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...