31

1K 44 0
                                    

৩১.

হোটেল থেকে বেড়িয়ে মেরিন ড্রাইভের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়লো ওরা। মিশু একটা হালকা গোলাপি রঙের জামা পড়ে পুতুলের মত সেজেছে। মেঘালয়ের পাশে বসে উৎসুক চোখে বাইরে তাকিয়ে রইলো ও।

মেরিন ড্রাইভ রোডে গাড়ি ওঠার পর থেকেই মিশু ক্রমশই উত্তেজিত হয়ে উঠতে লাগলো। একদিকে সমুদ্র, একদিকে পাহাড়! নীলাকাশ সাগরের নীলে নেমে এসেছে দেখে এক মু্ুহুর্ত স্তব্ধ হয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে না। নেমে যাওয়ার জন্য লাফালাফি শুরু করে দিলো মিশু। মেঘালয় গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লো মাঝ রাস্তায়।

রাস্তাটা মোটামুটি ধরণের চওড়া, একদিকে গাছের সাড়ি। সমুদ্রের ঢেউ আচড়ে পড়ছে তীরে আর অপরদিকে পাহাড়। একবার পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে আরেকবার সমুদ্রের দিকে তাকালো মিশু। কোনদিকে যাবে বুঝে উঠতে পারলো না। মেঘালয় ওকে হাত ধরে সমুদ্রের দিকে নিয়ে গেলো। সমুদ্রে এসে দূরন্ত কিশোরীর মত পা ভিজিয়ে দৌঁড়াতে লাগলো মিশু। এখানে সমুদ্র অনেক শান্ত, কিন্তু রূপ যেন আরো অনেক বেড়ে গেছে। মেঘালয় সেলফি তোলার জন্য পকেটে হাত দিয়ে মুখটা করুণ করে বললো, 'ধেৎ আমার তো ফোনই নেই।'

মেঘালয়ের মুখ দেখে প্রচন্ড খারাপ লাগলো মিশুর। ও বললো, 'মন খারাপ করবেন না প্লিজ। সব আমার জন্য হয়েছে।'

মেঘালয় মিশুকে বুকে টেনে নিয়ে বললো, 'পাগলী টা এভাবে বলেনা। তোমার জন্য আমি জীবনটাও দিয়ে দিতে পারি সেখানে একটা ফোন?'

মিশু হেসে বললো, 'আপনি খুব ভালো। আচ্ছা আমার ব্যাগে তো মৌনি আপুর ফোনটা আছে, ওটা দিয়ে সেলফি তুলি?'

- 'আচ্ছা তুমি এখানে থাকো আমি গাড়ি থেকে ফোনটা নিয়ে আসি।'

মিশু বাঁধা দিয়ে বললো, 'আমার একটু চুলগুলো ঠিক করতে হবে। আপনি এখানে থাকুন, আমিই ফোনটা নিয়ে আসছি।'

- 'আচ্ছা।'

মেঘালয় একটা পাথরের উপর বসে সমুদ্রের জলে পা ভেজাতে লাগলো। দূরে দেখা যাচ্ছে বিস্তৃত সমুদ্র আর পাহাড়। এখানে নীল ছাড়া আর কিছুই নেই। বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনটা কেমন যেন করে ওঠে।

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now