৩৪.
হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছে ওরা। মেঘালয়ের বুকে মাথা রেখে শক্ত করে জাপটে ধরে রেখেছে মিশু। সূর্যাস্ত দেখতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে মনে মনে। কিন্তু একদমই উঠতে ইচ্ছে করছে না। ইচ্ছে করছে এভাবেই একটা জীবন কাটিয়ে দিই।
মেঘালয় বললো, 'আমাদের চব্বিশ ঘন্টার প্রোগ্রাম কার্যকর করা হবে কবে থেকে?'
মিশু মেঘালয়কে আরো জোরে জাপটে ধরে বললো, 'এখনই? আমার লজ্জা করে।'
- 'আহারে, বলতে লজ্জা করেনি?'
বলেই হেসে উঠলো শব্দ করে। মিশু মেঘালয়ের মুখের উপর মুখটা এনে দুহাতে ওর মাথাটা চেপে ধরলো। মুখটা একদম কাছে এগিয়ে নিয়ে এসেছে তখনই বেজে উঠলো ফোনটা।
মেঘালয় বিরক্ত হয়ে ফোনটা নিয়ে সাইলেন্ট করতে যাবে এমন সময় খেয়াল করে দেখলো বাবা ফোন করেছে। একবার মিশুর দিকে তাকিয়ে অনেকটা কৌতুহল বশত মেঘালয় ফোন রিসিভ করলো। বাবার সাথে কথা হয়না প্রায় এক সপ্তাহ। আর তাছাড়া মৌনি বিয়ের ব্যাপারে কতটুকু বলে দিয়েছে কে জানে!
মেঘালয়ের কণ্ঠ শুনেই বাবা বললেন, 'কোথায় আছো?'
- 'হুম আব্বু। কেমন আছো?'
বাবা অনেকটা রাগী গলায় বললেন, 'কোথায় আছো জানতে চেয়েছি?'
- 'কক্সবাজারে।'
- 'ওকে। সেখানেই থাকো। আর কখনও বাসায় এসো না। ফোন করবে কি না জানিনা, তবে দয়া করে আমাকে ফোন দিও না কখনও।'
মেঘালয়কে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বাবা ফোন কেটে দিলেন। কথাটা কেন বললেন আর বাবা কতটুকুই বা জেনেছেন কিছুই বুঝতে পারছে না মেঘালয়। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো বিছানায়। কপালে সুক্ষ্ম চিন্তার ভাঁজ। দুঃসময় পিছু ছাড়তে চাইছে না কিছুতেই। আগামীতে কি হবে ভেবেই শিউরে উঠলো মিশু!
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...