২৩.
মেঘালয় সরাসরি মিশুর বাবার পাশে বসে বললো, 'বাবা একটা কথা বলার ছিলো।'
বাবা মেঘালয় ও মৌনির প্রতি অনেক খুশি হয়েছেন। উনি আগ্রহের সাথে জানতে চাইলেন, কি কথা?
মেঘালয় বললো, 'মিশুর সাথে অনেক বাজে একটা ব্যাপার ঘটতে যাচ্ছিলো সেটা তো জানেন। যেকোনো মেয়ের কাছেই ধর্ষণের মত আতংক আর হয়না। অনেক শকড হয়েছে মেয়েটা।'
বাবা একটু চিন্তিত মুখে বললেন, 'হুম। ওই তন্ময় ছেলেটাকে সামনে পেলে মেরে ফেলতাম আমি।'
মেঘালয় বললো, 'বাবা এখন আর ওর কথা বলে কিছুই হবেনা। মিশু সুস্থ শরীরে ফিরেছে এটাই অনেক।'
- 'এরজন্য তোমার কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো বাবা। আর এখন তুমিই ওর সবকিছু। আমার মেয়েটাকে একটু আগলে রেখো'
- 'সেটা আমার দায়িত্ব বাবা। আর গতকাল এরকমভাবে বিয়েটা হলো, মিশু এখনো স্বাভাবিক হতে পারছে না। ওর মনের অবস্থা খারাপ, লোকজন আমাদেরকে এভাবে অপমান করেছে সেটা ভূলতেই পারছে না।'
- 'হুম। বুঝতে পেরেছি।'
- 'বাবা আমি সেজন্যই চাচ্ছিলাম ওকে নিয়ে কোথাও গিয়ে দুটো দিন ঘুরে আসতে। আমাকেও মন থেকে গ্রহণ করতে পারছে না, আর ওর মানসিক অবস্থাও ভালো নেই। ঘুরে এলে আশাকরি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।'
বাবা একটু নিশ্চুপ থেকে বললেন, 'হুম এটা ভালো বলেছো। যাও ঘুরে আসো। সমস্যা নেই।'
- 'আপনাদের আত্মীয় স্বজন কিভাবে নেবে ব্যাপারটা সেটাই ভাবছি।'
- 'এদিক ম্যানেজ করার দায়িত্ব আমার। শুনলাম তোমার বন্ধুর বিয়ে হচ্ছে, ইচ্ছে হলে বিয়ে বাড়ি থেকে ঘুরে আসো। লোকজনের কথা ধরে চললে তো হবেনা।'
মেঘালয় মনেমনে খুশি হয়ে উঠল। বাবাকে সন্তুষ্ট করতে পেরে আনন্দ হচ্ছে ওর৷ যে কাউকে বশ করতে মেঘালয়ের বেশি সময় লাগেনা। ও হাসিমুখে বললো, 'বাবা আমরা একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে চাইছিলাম।'
- 'বাইরে বলতে? দেশের বাইরে?'
- 'না মানে কক্সবাজার থেকে ঘুরে আসি?'
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...