70

1.1K 36 0
                                    

৭০
গাড়ি মোটামুটি ভালো গতিতেই এগোচ্ছিলো। বাইপেলে ঢোকামাত্র শুরু হলো জ্যাম। মিশু ফুল ভলিউমে গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়লো। তন্ময় কোনো কথা না বলে একটানাভাবে ফেসবুকিং করে যাচ্ছে। মিশুর ঘুম ভাংলে দেখলো গাড়ি এখনো ঢাকা ছাড়েনি, জ্যামেই আটকে আছে।
চোখ কচলে ফোনটা বের করলো মিশু। দেখলো মেঘালয় অনেকবার কল দিয়েছে। ফোন সাইলেন্ট করা ছিলো বলে বুঝতে পারে নি ও। কল ব্যাক করামাত্র মেঘালয় রিসিভ করে বললো, 'ঘুমাচ্ছিলে?'
- 'রাগ কমেনি তোমার?'
- 'উহু, ঘুমাচ্ছিলাম।'
- 'আচ্ছা। শরীর কেমন লাগছে?'
- 'অনেক ভালো কিন্তু বাস এখনো জ্যামে আটকে আছে। ঢাকা ছাড়তে পারিনি এখনো।'
- 'তোমাকে গাড়িতে পাঠানো দরকার ছিলো। কিন্তু ড্রাইভারের অনেক কাজ এখন, বোঝো ই তো। বিয়ে বাড়ির কত ঝামেলা।'
- 'আমি ঠিক আছি। আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আপনি সময়মত লাঞ্চ করে নেবেন।'
- 'মিশু, আমি একটা ঝামেলায় আছি। সংশয়..'
- 'কিসের সংশয়?'
- 'তোমাকে পরে বলবো সবকিছু। এখন একটু রাখি?'
মিশু 'আচ্ছা' বলে ফোনটা ব্যাগে রেখে দিলো। পানির পিপাসা পেয়েছে খুব। কিন্তু পানি রাখা আছে ব্যাগে আর ব্যাগ মাথার উপরে। ওটা নিতে হলে সিট থেকে বের হতে হবে। মিশু উঠে দাঁড়ালে তন্ময় জিজ্ঞেস করলো, 'কোনো সমস্যা?'
- 'আমার ব্যাগটা নিতে হবে।'
- 'আমি দিচ্ছি।'

ব্যাগ নামিয়ে দিলো তন্ময়। মিশু ব্যাগ থেকে চিপস, কেক ও পানির বোতল বের করে নিলো। গাড়িতে ওঠার সময় একগাদা খাবার কিনে দিয়েছিলো মেঘালয়। তন্ময় আবারো ব্যাগটা উপরে রেখে সিটে বসে পড়লো।
মিশু কেক এর প্যাকেট খুলে এক পিস কেক বের করে কামড় দিলো। খেতে খেতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছিলো। পুরো কেক শেষ করে ঢোক ঢোক করে পানি খেলো। পানি খাওয়ার সময় গাড়ি ব্রেক কষতেই খানিকটা পানি জামার ভেতর ঢুকে গেলো মিশু'র। তন্ময় ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে ফেললো। মিশুর'ও হাসি পেয়ে গেলো।

বোতল টা সামনে রেখে চিপসের প্যাকেট খুলে টুকটুক করে খেতে আরম্ভ করলো। তন্ময় কোনো কথা বলছে না। গাড়ির জ্যাম ছেড়ে দিয়েছে দেখে আনন্দে লাফিয়ে উঠলো মিশু। তন্ময় মুচকি হাসলো।

হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now