৩৭.
মেঘালয় মাথায় হাত দিয়ে বসে বসে ভাবছে এবার কি হবে? বাবার জন্য বড্ড দুশ্চিন্তা হচ্ছে ওর। কোথ থেকে কি হয়ে গেলো! এতকিছু ঝামেলা কিভাবে মিটবে কেউ বলতে পারেনা। বাবা সুস্থ হবে কিনা, সবার কাছে সত্য ঘটনাটা কিভাবে বেরিয়ে আসবে সবকিছুই ভাবাচ্ছে মেঘালয়কে। অপরাধ না করেও আজ সবার চোখে খারাপ হতে হলো তাকে। অসহ্য একটা ব্যাপার।
মেঘালয় মাথা তুলে দেখলো মিশু রুমে নেই।
বেলকুনিতে গেছে হয়ত এটা ভেবে চুপচাপ বসে রইলো সে। এমন সময় মৌনির নাম্বার থেকে কল। মেঘালয় রিসিভ করতেই মৌনি বললো, 'ভাইয়া, আব্বুর শরীর সুস্থ হয়ে যাবে দেখিস। টেনশন করিস না।'
- 'কি হবে এবার?'
- 'সব ঠিক হয়ে যাবে ভাইয়া। তুই ফ্রেশ হয়ে আয়। টিকেটের ব্যবস্থা হয়ে গেছে, দ্রুত এয়ারপোর্টে গিয়ে কনফার্ম করে আয়।'
- 'মানে! এত দ্রুত কিভাবে পারলি?'
- 'ভাইয়া, মৌনিকে কি মনেহয় তোর? ফ্লাইট কখন জেনে আয়। আর টেনশন না করে তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে আয়। আমি দেখছি কি করা যায়। এমন প্লান করেছি, এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মরবে এবার।'
- 'বুঝলাম না। কিসের পাখি?'
- 'অনেক গুলো পাখি। এক প্লানে কতগুলো কাজ কার্যকর করি দেখার জন্য অপেক্ষা কর। শুধু আমাকে এখন বুদ্ধি খাটিয়ে কাজটা করতে হবে।'
- 'কি করতে চাইছিস বলতো?'
- 'সেটা না হয় রহস্যই থাক। ধামাকা দেখার জন্য অপেক্ষা কর। আর দোয়া করিস যেন সাকসেস হই।'
- 'আচ্ছা। আমি মিশুকে ডেকে আনি, ফোন রাখ। আর আব্বুর শরীর কেমন হয় আমাকে আপডেট জানাস।'
মেঘালয় ফোন রেখে বেলকুনিতে এসে খুঁজলো কিন্তু মিশুকে পেলোনা। করিডোরেও মিশুকে দেখতে না পেয়ে কপালে সুক্ষ্ম ভাঁজ পড়লো ওর। দরজা খোলা দেখেই বুকটা ধক করে উঠলো। দরজা খোলা, তারমানে মিশু? ভাবতে পারছে না মেঘালয়। মেয়েটা গেলো কোথায়? একসাথে এতগুলো টেনশন দিলে কেমন লাগে?
YOU ARE READING
হৃদমোহিনী ( সম্পূর্ণ)
Adventureমিশু উত্তেজনায় কাঁপছে। কত সুন্দর জীবন দর্শন মেঘালয়ের। সত্যিই নতুন ভাবে নিজেকে আবিষ্কার করতে ইচ্ছে করছে ওর। আসলেই জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর। এইযে কত সুন্দর জোৎস্না, চারিদিকে চাঁদের স্নিগ্ধ আলো! রাস্তার দুধারে গাছের সাড়ি, কত সুন্দর সবকিছু! চুল উড়ছে, মনট...